প্রজাপতির ডানায় বিদ্যুতের উপস্থিতি!


অবষেষে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করলেন, প্রজাপতিও হতে পারে অতি সূক্ষ্ম বিদ্যুতের যোগান দাতা। সম্প্রতি জাপানের একদল বিজ্ঞানী মম্ফো সালকোওস্কি প্রজাতির প্রজাপতির ডানার নকশা নিয়ে গবেষণা করে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।
জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড ইন্ডাস্ট্রিয়াল সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজির গবেষক ইজিরো মিয়াকোর নেতৃত্বে গবেষকরা জানিয়েছেন, এই পতঙ্গের ডানায় রয়েছে কার্বন ন্যানোটিউবের সংযোগ, যা আলোকে তাপে রূপান্তর করে এবং ডিএনএ বিন্যাসক্রমের পুনরাবৃত্তি ঘটায়।
গবেষকরা এও জানিয়েছেন, কেবল প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে এই ন্যানোস্কেল ইলেকট্রনিকস প্রযুক্তি ব্যবহার করা সম্ভব নয়। এ জন্য বাহ্যিক প্রযুক্তির সাহায্যও নিতে হয়। তবে প্রজাপতির ডানা এবং ন্যানোকার্বনের সংযোগে এই সূক্ষ্ম বিদ্যুৎ নিরবচ্ছিন্নভাবে উৎপাদন করা অত্যন্ত কঠিন হবে।
প্রজাপতির ডানা থেকে উৎপাদিত সূক্ষ্ম এ বিদ্যুৎ ও উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে বিভিন্ন রোগ নির্ণয় সম্ভব হতে পারে। এ ছাড়া দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত নানান পরিধানযোগ্য সূক্ষ্ম বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি তৈরিতেও কাজে লাগতে পারে।
মম্ফো সালকোওস্কি প্রজাপতির ডানার উপরিভাগে রয়েছে সূক্ষ্ম সৌর কোষ। এই কোষ আলোকে বন্দী করে অনেকটা ফাইবার-অপটিক তারের মতো। এরপর সেই আলো তাপে রূপান্তরিত হয়ে পতঙ্গটিকে প্রয়োজনীয় উষ্ণতা সৃষ্টিতে সাহায্য করে। উক্ত প্রজাতির প্রজাপতির ডানার বিদ্যুৎ পরিবাহিতা অত্যন্ত বেশি।
সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীদের দাবি, প্রজাপতির ডানায় বিদ্যুতের এই উপস্থিতি ভবিষ্যতে জৈবপ্রযুক্তি গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এনে দিবে।

Comments

Popular posts from this blog

How to hide drive in your compute without any software