মস্তিষ্ক স্ক্যানে সহজেই ধরা পড়বে স্বপ্ন!
প্রতিষ্ঠানটির নিউরো-ইনফরমেটিকস বিভাগের প্রধান ইয়াকিয়াসু কামিতানি নেতৃত্বে গবেষকরা তিন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান। এ পরীক্ষায় বিশেষায়িত যন্ত্র FMRI স্ক্যানার ব্যবহার করে স্বেচ্ছাসেবকদের মস্তিষ্কের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হয়। গবেষণাকালে স্বেচ্ছাসেবকদের স্ক্যানারের ভেতরে ঘুমাতে দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর পর তাদের জাগানো হয়। তাদের দেখা স্বপ্ন সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে এভাবে ২০০ বার ঘুমাতে দিয়ে তাদের দেখা স্বপ্ন সম্পর্কে জানা হয়। EEG ইলেকট্রড নামক বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে তারা প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবকের মস্তিষ্ক আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণ করেন এবং EEG সাক্ষর দেখা গেলে বিজ্ঞানীরা তাদের ঘুম থেকে জাগিয়ে স্বপ্নের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেন। ব্যবস্থাটিকে বিশেষজ্ঞরা হিপনাগগিক ইমেজারি বলে থাকেন। ঘুমন্ত মানুষ স্বপ্ন দেখলেই যন্ত্রে এ EEG সাক্ষর ভেসে ওঠে। সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধে বলা হয়, এখন পর্যন্ত ৬০ ভাগ সঠিক স্বপ্ন ধরতে সক্ষম হয়েছেন গবেষকরা।
কামিতানি ও তার সহকর্মীরা অ্যালগরিদম ব্যবহার করে একটি ভিজুয়াল ইমেজারি ডিকোডার তৈরি করেন। স্বেচ্ছাসেবকদের শতাধিক চিত্র দেখিয়ে তাদের মস্তিষ্ক কীভাবে ক্রিয়া করছে, তার সঙ্গে তুলনা করে তারা স্বপ্নে কী দেখছেন, তা জানাবে এ ডিকোডার। কামিতানি জানান, তাদের স্বপ্ন ধরার প্রক্রিয়াটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। স্বপ্নের ক্রিয়া, রঙ, আবেগ জানার প্রযুক্তি এখনো অপ্রতুল বলে জানান তিনি। ডিকোডারটি শুধু ঘুম থেকে জাগার ১৫ সেকেন্ড আগে দেখা স্বপ্ন সম্পর্কে ধারণা দেবে। আবার মানুষভেদে ভিন্ন ডিকোডার তৈরি করতে হবে, যেখানে শতাধিক চিত্রের জন্য তার মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়া জানার প্রয়োজন পড়বে। ডিকোডারটির মাধ্যমে শুধু স্বপ্নের ক্রিয়া ও ধরন জানা সম্ভব হবে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির স্নায়ুবিজ্ঞানীরা। প্রফেসর কামিতানি জানান, আমরা মস্তিষ্ক স্ক্যান করে ঘুমন্ত অবস্থায় তার কার্যকলাপ ধরতে সক্ষম হয়েছি। এটি অবশ্যই একটি বড় সফলতা।
Comments
Post a Comment