Posts

Showing posts from September 28, 2013

১৭৫ কোটি বছর পৃথিবী বসবাসের উপযোগী থাকবে

Image
চলতি বছরের এপ্রিলে তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং বলেছিলেন, আগামী ১০০০ বছরে মানব জাতির অস্তিত্ত্ব থাকবে না। সেসময় সিডার্শ সাইনাই মেডিক্যাল সেন্টারের ডাক্তার ও নার্সদের এক সমাবেশে তিনি  এ কথা বলেন। কিন্তু যে প্রশ্নটি এখন বিজ্ঞানীদের ভাবিয়ে তুলছে তা হলো, এই পৃথিবী কতদিন বাসযোগ্য থাকবে।   অ্যাস্ট্রোবায়োলজিস্টরা বলছেন, আর মাত্র ১৭৫ কোটি বছর পৃথিবী বসবাসের উপযোগী থাকবে। সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে পৃথিবীতে কতদিন তরল পানি থাকবে তার ওপর গবেষণা চালিয়ে তারা এ তথ্যে উপনীত হয়েছেন। অ্যাস্ট্রোবায়োলজি জার্নালে গবেষণার ওই তথ্য প্রকাশিত হয়। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট অ্যাংলিয়ার এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স স্কুলের অ্যান্ড্রু রুশবির নেতৃত্বে একদল গবেষক মত দিয়েছেন, সূর্যের তাপমাত্রা খুব বেড়ে যাবে। তা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছবে, যখন পৃথিবীতে পানি তরল অবস্থায় থাকবে না। সে অবস্থায় পৃথিবী মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে। অ্যান্ড্রু রুশবি জানান, আগামী ১৭৫ থেকে ৩২৫ কোটি বছরের মধ্যে পৃথিবীতে বাসযোগ্য অবস্থা থাকবে না। তখন এটা ‘হট জোনে’ পরিণত হব

জুরাসিক পার্ক বাস্তবতা বিবর্জিত

Image
স্টিভেন স্পিলবার্গের অন্যতম জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ‘জুরাসিক পার্ক’। সেখানে দেখানো হয়েছিলো, কয়েক কোটি বছর আগে এক ডায়নোসরের রক্ত খাওয়ার পরই ঘন রজনে আটকে গিয়েছিল একটি মশা। কালের বিবর্তনে ওই রজন ও তাতে আটকে পড়া মশা জীবাশ্মে পরিণত হয়। ওই জীবাশ্ম এসে পড়ে বায়োইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থার কর্ণধার জন হ্যামন্ডের হাতে। তার পর বিশেষ পদ্ধতিতে ওই মশার দেহ থেকে সংগ্রহ করা হয় ডায়নোসরের ডিএনএ-এর নমুনা। যা থেকে ক্লোনিংয়ের মাধ্যমে তৈরি হয় বিভিন্ন প্রজাতির ডায়নোসর। কোস্টারিকার কাছে নিরক্ষীয় আবহাওয়া বিশিষ্ট এক দ্বীপে রাখা হয় তাদের। ব্যাপারটি চলচ্চিত্রটিতে যেভাবে ফুটিতে তোলা হয়েছে, আদৌতে এটির বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। রজনে আটকে থাকা পতঙ্গের দেহ থেকে পাওয়া ডিএনএ দিয়ে আর কখনওই নতুন করে ডায়নোসর জন্ম দেয়া সম্ভব নয়। গত দু’দশক ধরে জীববিজ্ঞানের ‘ফ্যান্টাসি’ বলে পরিচিত এই সম্ভাবনা নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়েছে। এত দিনে সেই আলোচনার সদুত্তর পাওয়া গেলো যে ধরনের রজনে আটকে পড়ে পতঙ্গ জীবাশ্মে পরিণত হতে পারে সেই রজন নিয়ে গবেষণারত বিজ্ঞানী ডেভিড পেনি ও ডিএনএ গবেষক টেরি ব্রাউন সিনেমায় দেখানো পদ্ধতিতে প্রাচীন ডিএনএ নিষ্কাশন আ

মাউস হত্যাকারী প্রযুক্তি হ্যাপটিক্স

Image
 টাচস্ক্রিনের ধারণা সাধারণত ডিভাইসের পর্দার মাঝেই সীমাবদ্ধ। সম্প্রতি দুইজন গবেষকের প্রচেষ্টায় তৈরি হয়েছে হ্যাপটিক্স নামের এমন এক সেন্সর যার মাধ্যমে যে কোনো উপরিতল পরিণত হবে মাল্টিটাচ স্ক্রিনে। গেশ্চার কন্ট্রোল এটিই প্রথম নয়। এর আগেও ছিল লিপ মোশনের মাধ্যমে হাতের ইশারায় কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণের প্রযুক্তি। হ্যাপটিক্স প্রযুক্তির অন্যতম উদ্ভাবক ড্যারেন লিম জানান, হ্যাপটিক্স লিপ মোশনের মতো ইনফ্রানির্ভর নয়। যে উপরিতলে আলো প্রতিফলিত হয় এটি সেখানেই কাজ করবে। লিপ একে বিড়ালের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, এটি মাউস হন্তারক। এর ব্যবহার শুরু হলে কম্পিউারের মাউসের মৃত্যু হবে। এ প্রযুক্তিতে স্ক্রল, জুম, ট্যাপিংয়ের মাধ্যমে অবজেক্ট সিলেক্ট সবই করা যাবে। এটি উন্নয়নের জন্য ১ লাখ ডলার তহবিল সংগ্রহের কাজ শুরু হবে শিগগির। আপাতত উইন্ডোজ ও উবুন্টুতে কাজ করতে পারা এ প্রযুক্তি ভবিষ্যতে আন্ড্রয়েড এবং অন্যান্য ওএসে কার্যকর হবে। সূত্র : ম্যাশেবল JOIN FB>>>>>

চাঁদ মোটে বুড়ি নয়

Image
ওয়াশিংটন : প্রেম, দুঃখ, আলস্য, রোমাঞ্চ, পাগলামো... জীবনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোয় চাঁদকে মনে পড়ে না এমন লোক খুব কমই রয়েছে। অথচ চাঁদের সেই চরকা কাটা বুড়ির বয়সটা ঠিক কত, হাজার খুঁজলেও তা কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিজ্ঞানীরাও কী ভাবে চাঁদ তৈরি হল তা জানতেই বেশি আগ্রহী। ওয়াশিংটনের কার্নেগি ইনস্টিটিউশনের ভূ-রসায়নবিদ্ রিচার্ড কার্লসন অবশ্য অন্য সব বিজ্ঞানীর থেকে কিছুটা ব্যতিক্রমী। চাঁদের বয়স জানতেই তার যত আগ্রহ। সত্তরের দশকে অ্যাপোলো অভিযানে চাঁদ থেকে যে সব নমুনা মাটি আর পাথর আনা হয়েছিল তা পরীক্ষা করেছেন রিচার্ড। এর জন্য বিশেষ তেজস্ক্রিয় ডেটিং ব্যবহার করেছেন তিনি। আর সেই নমুনা পরীক্ষা করেই রিচার্ড জানিয়েছেন, আজ থেকে প্রায় ৪৪৫-৪৪০ কোটি বছর আগে জন্ম হয়েছে চাঁদের। অর্থাৎ এত দিন যা ধারণা ছিল তার থেকে প্রায় ১০ কোটি বছর বয়স কমে গেল পৃথিবীর এক মাত্র উপগ্রহটির। এ সপ্তাহেই লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটিতে তার গবেষণাপত্র পেশ করেছেন রিচার্ড। তার কথায়, “সৌর জগতের বয়স কত সেটা আমরা সবাই জানি। কোনো শক্তিশালী মহাজাগতিক বস্তুর ধাক্কায় পৃথিবী থেকে একটা বড় অংশ বেরিয়ে