জুরাসিক পার্ক বাস্তবতা বিবর্জিত
স্টিভেন স্পিলবার্গের অন্যতম জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ‘জুরাসিক পার্ক’। সেখানে দেখানো হয়েছিলো, কয়েক কোটি বছর আগে এক ডায়নোসরের রক্ত খাওয়ার পরই ঘন রজনে আটকে গিয়েছিল একটি মশা। কালের বিবর্তনে ওই রজন ও তাতে আটকে পড়া মশা জীবাশ্মে পরিণত হয়। ওই জীবাশ্ম এসে পড়ে বায়োইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থার কর্ণধার জন হ্যামন্ডের হাতে।
তার পর বিশেষ পদ্ধতিতে ওই মশার দেহ থেকে সংগ্রহ করা হয় ডায়নোসরের ডিএনএ-এর নমুনা। যা থেকে ক্লোনিংয়ের মাধ্যমে তৈরি হয় বিভিন্ন প্রজাতির ডায়নোসর। কোস্টারিকার কাছে নিরক্ষীয় আবহাওয়া বিশিষ্ট এক দ্বীপে রাখা হয় তাদের।
ব্যাপারটি চলচ্চিত্রটিতে যেভাবে ফুটিতে তোলা হয়েছে, আদৌতে এটির বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। রজনে আটকে থাকা পতঙ্গের দেহ থেকে পাওয়া ডিএনএ দিয়ে আর কখনওই নতুন করে ডায়নোসর জন্ম দেয়া সম্ভব নয়। গত দু’দশক ধরে জীববিজ্ঞানের ‘ফ্যান্টাসি’ বলে পরিচিত এই সম্ভাবনা নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়েছে। এত দিনে সেই আলোচনার সদুত্তর পাওয়া গেলো
যে ধরনের রজনে আটকে পড়ে পতঙ্গ জীবাশ্মে পরিণত হতে পারে সেই রজন নিয়ে গবেষণারত বিজ্ঞানী ডেভিড পেনি ও ডিএনএ গবেষক টেরি ব্রাউন সিনেমায় দেখানো পদ্ধতিতে প্রাচীন ডিএনএ নিষ্কাশন আদৌ সম্ভব কি না তা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছিলেন।
তাতে তাঁরা দেখেছেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করেও ৬০ থেকে ১০ হাজার বছরের বেশি পুরনো ডিএনএ-র ক্লোন তৈরি করা যায়নি। তাই কল্পনা চিত্তাকর্ষক হলেও বাস্তবে অসম্ভব বলে তাকে বাতিল করে দিয়েছেন ওই দুই বিজ্ঞানী।
যে যুগে ডায়নোসরেরা পৃথিবী শাসন করেছিল, সেই জুরাসিক যুগের নাম অনুযায়ী দ্বীপের নাম রাখা হয় ‘জুরাসিক পার্ক’। পরের ঘটনা নিয়ে তৈরি করা চলচ্চিত্রটি দেখেননি এমন মানুষের সংখ্যা বিরল। কিন্ত্ত চলচ্চিত্রটিতে যে ভাবে ডায়নোসর জন্ম দেয়া হয়েছিল তা বাস্তবেও সম্ভব কি না, তা নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক শুরু হয় বিশেষজ্ঞমহলেও।
JOIN FB>>>>>
Comments
Post a Comment