মানুষ ও পতঙ্গের চোখের মত ফোকাস করতে পারবে ক্যামেরার লেন্স
ঢাকা
: মানুষের চোখ হচ্ছে একটি আদর্শ লেন্স। এটি খুব সহজেই বিভিন্ন দূরত্বের
বস্তু দেখার জন্যে ফোকাস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এই ফোকাসিং এর ব্যাপারটি
ফটোগ্রাফারদের নিয়ন্ত্রণ করতে কখনও কখনও ক্যামেরার লেন্স পরিবর্তন করতে হয়।
ওহিও ষ্টেট ইউনিভার্সিটির (OSU) একদল প্রকৌশলী এমন এক ধরণের লেন্স
আবিষ্কার করেছেন যা মানুষের চোখের মতই বিভিন্ন দূরত্বের বস্তুর ক্ষেত্রে
দেখার ফোকাস পারবে।
২৫ তম আই.ই.ই.ই. ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন মাইক্রো-ইলেক্ট্রো মেকানিক্যাল সিস্টেমস –এ এ ব্যপারে বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া হয়। প্রযুক্তিটি ক্যামেরার বিভিন্ন আলাদা আলাদা লেন্স বহনের ঝামেলা থেকে মুক্তি দেবে। প্রকৌশলী দলটি লেন্সটিতে এর ফোকাস পরিবর্তনের জন্যে এর মধ্যে তরল পদার্থের প্রবাহের ব্যবস্থা করেছেন। লেন্সের মধ্যে তরল পদার্থের প্রবাহের ফলে এর ফোকাসের পরিবর্তন হয়। তারা এটি তৈরিতে ব্যবহার করেছেন নমনীয় পলিমার জাতীয় পদার্থ থেকে। এর নকশাটি অনেকটা কীট-পতঙ্গের চোখের মত। এতে একটি বড় লেন্সের মাঝে অনেকগুলো ছোট ছোট লেন্স রয়েছে। এই ছোট ছোট লেন্সগুলো বিশেষ প্রকৃতির তরল দ্বারা পূর্ণ করা যায়। তরল প্রবাহের জন্যে এদের প্রতিটির মধ্যে অত্যন্ত সূক্ষ্ম পথের ব্যবস্থা রয়েছে।
প্রক্রিয়াটি অনেকটা মানুষের চোখের ফোকাসিং ব্যবস্থার মত কাজ করে। বিভিন্ন দূরত্বের বস্তু দেখার ক্ষেত্রে মানুষের চোখের লেন্সের আকৃতি খুব সূক্ষ্মভাবে পরিবর্তিত হয়। ফ্লুইড লেন্সটিতেও তরলের উপস্থিতির কারণে বিভিন্ন দূরত্বের বস্তু স্পষ্টভাবে ফোকাস করতে সমর্থ হয়। তাছাড়া এটি অধিক বিস্তৃত পরিসরে দেখতে সক্ষম। ফলে এতে খুব সহজেই একটি চমৎকার ওয়াইড এঙ্গেল ভিউ পাওয়া যাবে। অনেকটা পতঙ্গের পুঞ্জাক্ষীর মত। পুঞ্জাক্ষীর কারণে মাছি এর পেছনে অবস্থান করা বস্তুও দেখতে পায়। কেননা মাছির চোখের ছোট ছোট অংশগুলো এক একটা এক এক দিকে ফোকাস করে থাকে। তবে মাছির ক্ষেত্রে এই ফোকাসিং এর ব্যাপারটি খুব ভালভাবে ঘটে না। কৃত্রিম লেন্সটির অভ্যন্তরীণ তরলের ব্যবহারে এ সমস্যাটি দূর করা সম্ভব হয়েছে।
ওহিও ষ্টেট ইউনিভার্সিটির বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অপথালমোলোজির একজন অধ্যক্ষ জানান,
আমরা এটিকে আরও উন্নত করে তৈরি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যেটি হয়ত মানুষের চোখের লেন্সের মত আকার পরিবর্তন করতে সক্ষম হবে। লেন্সটি হয়ত কোন স্মার্টফোনের সাথে কাজ করতে যাচ্ছে না। তবে অন্যান্য অনেক সুনির্দিষ্ট কাজে নির্দিষ্ট যন্ত্রপাতির সাথে এটিকে ব্যবহার করা যাবে এবং প্রয়োজনের সময় এটি তাৎক্ষণিক সাড়া দিতে সক্ষম হবে।
তথ্যসূত্রঃ ম্যাশেবল
২৫ তম আই.ই.ই.ই. ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন মাইক্রো-ইলেক্ট্রো মেকানিক্যাল সিস্টেমস –এ এ ব্যপারে বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া হয়। প্রযুক্তিটি ক্যামেরার বিভিন্ন আলাদা আলাদা লেন্স বহনের ঝামেলা থেকে মুক্তি দেবে। প্রকৌশলী দলটি লেন্সটিতে এর ফোকাস পরিবর্তনের জন্যে এর মধ্যে তরল পদার্থের প্রবাহের ব্যবস্থা করেছেন। লেন্সের মধ্যে তরল পদার্থের প্রবাহের ফলে এর ফোকাসের পরিবর্তন হয়। তারা এটি তৈরিতে ব্যবহার করেছেন নমনীয় পলিমার জাতীয় পদার্থ থেকে। এর নকশাটি অনেকটা কীট-পতঙ্গের চোখের মত। এতে একটি বড় লেন্সের মাঝে অনেকগুলো ছোট ছোট লেন্স রয়েছে। এই ছোট ছোট লেন্সগুলো বিশেষ প্রকৃতির তরল দ্বারা পূর্ণ করা যায়। তরল প্রবাহের জন্যে এদের প্রতিটির মধ্যে অত্যন্ত সূক্ষ্ম পথের ব্যবস্থা রয়েছে।
প্রক্রিয়াটি অনেকটা মানুষের চোখের ফোকাসিং ব্যবস্থার মত কাজ করে। বিভিন্ন দূরত্বের বস্তু দেখার ক্ষেত্রে মানুষের চোখের লেন্সের আকৃতি খুব সূক্ষ্মভাবে পরিবর্তিত হয়। ফ্লুইড লেন্সটিতেও তরলের উপস্থিতির কারণে বিভিন্ন দূরত্বের বস্তু স্পষ্টভাবে ফোকাস করতে সমর্থ হয়। তাছাড়া এটি অধিক বিস্তৃত পরিসরে দেখতে সক্ষম। ফলে এতে খুব সহজেই একটি চমৎকার ওয়াইড এঙ্গেল ভিউ পাওয়া যাবে। অনেকটা পতঙ্গের পুঞ্জাক্ষীর মত। পুঞ্জাক্ষীর কারণে মাছি এর পেছনে অবস্থান করা বস্তুও দেখতে পায়। কেননা মাছির চোখের ছোট ছোট অংশগুলো এক একটা এক এক দিকে ফোকাস করে থাকে। তবে মাছির ক্ষেত্রে এই ফোকাসিং এর ব্যাপারটি খুব ভালভাবে ঘটে না। কৃত্রিম লেন্সটির অভ্যন্তরীণ তরলের ব্যবহারে এ সমস্যাটি দূর করা সম্ভব হয়েছে।
ওহিও ষ্টেট ইউনিভার্সিটির বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অপথালমোলোজির একজন অধ্যক্ষ জানান,
আমরা এটিকে আরও উন্নত করে তৈরি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যেটি হয়ত মানুষের চোখের লেন্সের মত আকার পরিবর্তন করতে সক্ষম হবে। লেন্সটি হয়ত কোন স্মার্টফোনের সাথে কাজ করতে যাচ্ছে না। তবে অন্যান্য অনেক সুনির্দিষ্ট কাজে নির্দিষ্ট যন্ত্রপাতির সাথে এটিকে ব্যবহার করা যাবে এবং প্রয়োজনের সময় এটি তাৎক্ষণিক সাড়া দিতে সক্ষম হবে।
তথ্যসূত্রঃ ম্যাশেবল
Comments
Post a Comment